নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালক হত্যায় গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১৭

নিহত অটোরিকশা চালক মো. মোজাম্মেল হোসেন রাব্বি (২৫)। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীল কবিরহাটে মো.মেজবাহ উদ্দিন রাব্বি (২৫) নামে অটোরিকশার এক চালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার মো. রাসেল (৩০) উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের এনায়েত নগর এলাকার হোসেন সর্দার বাড়ির মৃত সফি উল্লার ছেলে ও মাইন উদ্দিন (২৮) কবিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ এলাকার হাসান আলী মিস্ত্রী বাড়ির মো. আবদুল হকের ছেলে।
আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঘটনার কয়েক ঘণটার মধ্যে গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ সোমবার সকালে নিহতের মা তাজনাহার বেগম বিজলী বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে কবিরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যার মামলা নং-৫।
এর আগে, গতকাল রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরহাট সরকারি কলেজের পশ্চিমে এনায়েত নগর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কবিরহাট পৌরসভার এনায়েত নগর এলাকার মো. রাসেল (৩০), তার ভাই মো. রুমেজ (২৯) ও কবিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ এলাকার হাসান আলী মিস্ত্রী বাড়ির মো. আবদুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিনসহ (২৮) অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনের সাথে নিহত অটোরিকশা চালক মেজবাহ উদ্দিন রাব্বির (২৮) বিরোধ সৃষ্টি হয়।
যার জের ধরে গতকাল রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাব্বি অটোরিকশা নিয়ে কবিরহাট বাজারে যাওয়ার পথে এজাহার নামীয় তিন আসামিসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন পরস্পর যোগসাজশে তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এনায়েত নগর এলাকার পুকুর পাড়ের ঝোপে ফেলে দেয়।
এদিকে স্থানীয়দের ধারণা অটোরিকশা ছিনতাই করতেই ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় একরাম নামে এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী মুরুব্বি জানিয়েছেন, কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জৈনদপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির সফির ছেলে রাসেল ও তার সঙ্গীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দেবনাথ জানান, ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে রাব্বির মরদেহের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ঘটনাস্থলেই সে মারা যায় বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনে জন্য তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া এজাহার নামীয় পলাতক আরেক আসমিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।