বাঁধ কেটে জলমহালের পানি নিষ্কাশন, হুমকির মুখে বোরো জমি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:২৯

ছিফতখালী বেড়িবাঁধ কেটে জলমহালের পানি নিষ্কাশন। ছবি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ঝুঁকিপূর্ণ ছিফতখালী বেড়িবাঁধ কেটে জলমহালের পানি নিষ্কাশন করায় হুমকির মুখে পড়েছে উপ্তিরপাড়, মৌখলা, ঠাকুরভোগ ও টাইলা গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর বোরো জমি। এতে করে উপজেলায় সচেতন মহল চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ ছিফতখালী বেড়িবাঁধ।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের সিফতখালির বাঁধের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত না করে রাতের আঁধারে কে বা কারা ঝুঁকিপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধটি এসকেভেটর মেশিন লাগিয়ে প্রায় ৩০ফুট গভীর করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছে।
এই বাঁধ কাটার ফলে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন করা হবে বলে জানান কাউয়ুজুরী গ্রামের কৃষক শেলু মিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাঁধের পার্শ্ববর্তী গ্রামের আরো একাধিক কৃষক জানান, অপরিকল্পিতভাবে এতো ভালো টেকসই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি কেটে দেওয়ায় বৃষ্টির দিনে ফাল্গুন অথবা চৈত্র মাসে তড়িঘড়ি করে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি মেরামত করা হলে টেকসই না হয়ে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যাবে। ফলে প্রথম দাপে পানি আসার পর নতুনভাবে বাঁধটি মেরামত করা হলে সহজেই ভেঙ্গে গিয়ে হাওর ডুবির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মরা মহাসিং নদী জলমহালের ইজারাদার জাবেদ নুর জানান, এই বাঁধটি আমরা কেটে দেইনি, কারা কেটে দিয়েছে জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা পাঁচ কাইপনা জলমহালের ইজারাদার নুর মিয়ার মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দেওয়ার পর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাহবুল আলম জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান জানান, বাঁধ কাটার বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। যারা বাঁধটি কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।