সমির মল্লিক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৫৩ পিএম
খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচন
বর্তমান মেয়র রফিকুল আলম, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী ও বিএনপির প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল।
দ্বিতীয় ধাপে ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই পর্ব শেষ হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। জনমত অনুযায়ী, এদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র রফিকুল আলমের। এছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইব্রাহিম খলিলও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেন। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ আহমেদের অবস্থান ততোটা মজবুত নয়।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্পদ বিবরণের হলফনামা জমা দিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। হলফমানা বিশ্লেষণের দেখা গেছে, চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী। বর্তমান মেয়র রফিকুল আলমের চেয়ে তার সম্পদ বেশি। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল।
হলফমানা অনুযায়ী, নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর বার্ষিক আয় চার লাখ ২০ হাজার টাকা, যা তিনি জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে সম্মানি পান। এইচএসসি পাশ নির্মলেন্দুর স্ত্রী শিক্ষকতা করেন। বেতন বাবদ তার আয় ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। নির্মলেন্দু ও তার স্ত্রীর কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ২ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৬ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত রেখেছেন। নির্মলেন্দু চৌধুরীর নির্মাণাধীন বাড়ি একটি, এছাড়া রয়েছে ১৫ লাখ টাকা মূল্যের পাজেরো, ১ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, ৫০ হাজার টাকা মূল্যে ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং ৬ লাখ ১২ হাজার টাকার অন্যান্য সামগ্রী। এছাড়া রয়েছে কৃষি জমি ও প্লট। তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই।
ব্যবসা থেকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলমের আয় ৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, মেয়র হিসেবে সম্মানি পান ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ৫০ হাজার। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানত রয়েছে ৪ লাখ টাকা ও মেয়ের নামে রয়েছে ১ লাখ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ২০ ভরি স্বর্ণ। যৌথ ও একক মালিকানায় কৃষি ও অকৃষি জমি রয়েছে। ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নেই মেয়র রফিকুল আলমের। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন। অতীতে রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ৩৬টি ফৌজদারি মামলা হলেও তিনি সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের ইব্রাহিম খলিল শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন। তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক (এলএলবি) সম্পন্ন করেছেন। কৃষিখাত থেকে তার আয় ৬০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ইব্রাহিম খলিলের নগদ অর্থের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা, নির্ভরশীলদের নামে রয়েছে ১ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এক লাখ ৫০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার রয়েছে । এছাড়া একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ২ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার রয়েছে। কৃষি ও অকৃষি জমিও রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমদ জানান, মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দিন মেয়র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
ABOUT CONTACT ARCHIVE TERMS POLICY ADVERTISEMENT
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ | প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী | ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
© 2021 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh