Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যুবমহিলা লীগ নেত্রী বহিষ্কার

Icon

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:০১

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যুবমহিলা লীগ নেত্রী বহিষ্কার

জামালপুরের ইসলামপুরে সরকারি বরাদ্দের বয়স্ক ও বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিতর্কিত যুবমহিলা লীগ নেত্রী শিউলী আক্তারকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

গতকাল বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি আবিদা সুলতানা যুথী ও সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তার পলির যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

শিউলী উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন যুবমহিলা লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড ও যুবমহিলা লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগ তুলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেইসাথে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- মর্মে সাতদিনের সময় বেঁধে শোকজ করা হয়।

জানা যায়, সম্প্রতি স্থানীয় এলাকাবাসী যুবমহিলা লীগের নেত্রী শিউলীর বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি আমলে নেন উপজেলা যুবমহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাস থেকে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ভাতা প্রদানের তালিকাভুক্ত হয় বালুচান্দা গ্রামের মৃত রেহান আলীর স্ত্রী ছাহিরন বেওয়া (বয়স্ক ভাতাভোগী বহি নং ৯৯৫০), একই এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে আব্দুল জব্বার (বহি নং ৯৯৩৬), আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী (বহি নং ৯৯১৭), অমিছা খাতুন (বহি নং- ৯৯৫৪), মৃত শহীদের স্ত্রী মোছা. মিলন আক্তার (বিধবা বহি নং ৪৭৮৮)।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভাতা উত্তোলনের কার্ড সমাজসেবা অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজসে ওইসব সুবিধাভোগীদের না দিয়ে নিজের কব্জায় রেখে দেন শিউলী। গত ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রতি নামের বিপরীতে ছয় হাজার টাকা হারে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন শিউলী।

এছাড়া এলাকার একাধিক ব্যক্তি ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের পুষ্টির নামসহ বিভিন্ন ভাতা পাইয়ে দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে শিউলী জানান, টাকা নিয়ে আমি খাইনি। ১৬ হাজার টাকা শহিদুল্লাহ চেয়ারম্যানকে দিয়েছি। এছাড়া পুষ্টি ভাতা দিতেও চেয়ারম্যান আমার কাছে ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে। 

চরগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান শদিুল্লাহ সরকার জানান, যুবমহিলা লীগ নেত্রী শিউলী আক্তারের সাথে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই এবং আমি টাকাও নেইনি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, ভাতা পাইয়ে দেয়ার নামে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যুবমহিলা লীগ নেত্রী শিউলী আক্তার ভাতাভোগীদের টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়েছে।

 এ ব্যাপারে উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তার পলি জানান, বয়স্ক ও বিধবাদের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সততা পেয়ে ইউনিয়ন যুবমহিলা লীগের সভাপতি শিউলী আক্তারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫