সরিষাবাড়ীতে যমুনার রক্ষা বাঁধে অসময়ে ভাঙন

জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৫০
-600559d87990e.jpg)
ছবি: জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি-ভূয়াপুর মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর বাম তীরের রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আগামী বন্যার আগেই মহাসড়কটি ভাঙন ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম অকাল বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানীবাজার থেকে ইসলামপুর উপজেলা হয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন পর্যন্ত ৪৫৫ কোটি ব্যয়ে ১৬.৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। ২০১০ সালে শুরু হয়ে ২০১৭ সালে শেষ হয় এ প্রকল্পের কাজ।
বন্যা ভাঙনকবলিত সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল জেলার কয়েকটি গ্রাম রক্ষায় ওই প্রকল্পের সাথেই আরো ২.৫ কিলোমিটার কাজ বাড়ানো হয়। যা এখনো চলমান আছে।
এদিকে বাঁধের সমাপ্তকৃত অংশের পাশেই অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বেড়িবাঁধের মূল অংশ পিংনা দক্ষিণপাড়া এলাকায় দুইটি স্থানে প্রায় ১৬ মিটার সিসি ব্লক ভয়াবহভাবে ধসে গেছে। যার ফলে আগামী বন্যায় বেড়িবাঁধটি পুরোপুরি ভাঙনসহ কয়েকটি গ্রাম অকাল বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয়রা।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম ছানোয়ার হোসেন ছানা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, নদী রক্ষা বাঁধের পাশেই অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। ফলে অসময়ে নদীর বাঁধ ধসে গেছে। বর্ষার আগেই এটি সংস্কার করা না হলে বেড়িবাঁধসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
বিষয়টি দ্রুত সুনজরের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলেও তারা জানান।
এ ব্যাপারে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, অসময়ে বাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ার কারণ নেই। সম্ভবত বালু উত্তোলনের কারণে এটি হতে পারে। পাউবোর লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।