গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৫৩ পিএম
গাজীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলর এবং একটি হাসপাতালের মালিকের কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) তাদেরকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার দিঘীরচালা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ৬ এপ্রিল গাজীপুর সিটির ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোয়েব আল আসাদ (মনির) এবং কালিয়াকৈর থানাধীন সফিপুর বাজারের খাজা বদরুদ্দোজা মডার্ন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. বখতিয়ারকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে নিজেদেরকে গাজীপুর জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিবি পুলিশের এসআই পরিচয় দেয়। তারা বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে কাউন্সিলর ও হাসপাতালের মালিক গাজীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইলে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর মো. সোয়েব আল আসাদ (মনির) বাদী হয়ে বাসন থানায় এবং ডা. মো. বখতিয়ার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন। পিবিআই মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান ও এসএম শাকিল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর বাসন থানাধীন দীঘিরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ওই এলাকার জসিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. আ. সালামের ছেলে মো. সজীব হাসান শিপনকে (২২) গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (২৭) ওই এলাকার শাখাওয়াত উকিলের বাসার ভাড়াটিয়া মো. মোস্তফার ছেলে মো. হৃদয়কে (২১) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. সজীব হাসান শিপনের কাছ থেকে গাজীপুর জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ব্যবহার করে ও ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কথা বলার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে সেখানে তারা ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
© 2021 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh