Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

Icon

ফয়সাল শামীম

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩৮

সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

সূর্যমুখীর হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে কুড়িগ্রামের নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলো। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় এর চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এ অঞ্চলের আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের উপযোগী এবং চরাঞ্চলের বালু জমিতে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠছে সূর্যমুখী চাষে। আর যারা গত বছর চাষ করেছেন এবার তারাও বাড়িয়ে দিয়েছেন আবাদি জমির পরিধি। 

সূর্যমুখী চাষি কৃষক মো. সেকেন্দার আলী জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষে ব্যয় হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী বীজ পাওয়া যায় ৭ থেকে ৮ মন। যার প্রতিমণের বর্তমান বাজরমূল্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

আরেক সূর্যমুখী চাষি শেখ সাদী জানান, সূর্যমুখী চাষে তেমন কষ্ট নেই আর ফলন হয় বেশ ভালো। সূর্যমুখী ক্ষেত দেখতে আসা মৌসুমী বেগম জানান, ধরলার পাড়ে এরকম সূর্যমুখীর বাগান সবার দৃষ্টি কেড়েছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হক জানান, গত মৌসুমে চরাঞ্চলের ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হলেও এবার তা বেড়ে হয়েছে ২শ’ হেক্টর জমিতে। আগামীতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছি। 

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়িয়ে চরাঞ্চলের পতিত জমি সূর্যমুখী চাষের আওতায় আনা গেলে, একদিকে যেমন দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটবে। তেমনি অন্যদিকে বদলে যাবে চরাঞ্চলের কৃষি চিত্র এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫