সড়কে প্রাণ গেলো বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকের

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৬:১৭

অধ্যাপক কাজী মশিউর রহমান রাজিব
পিরোজপুরের নাজিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মশিউর রহমান রাজিবের (৪০)। গুরুতর আহত হয়েছে তার স্ত্রী-পুত্র। এছাড়াও নিহত হয়েছেন অটোচালক রাকিব (১৭)।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে নাজিরপুর উপজেলার কবিরাজ বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে অটোরিকশায় করে পিরোজপুর থেকে গোপালগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নাজিরপুরের কবিরাজ বাড়ি এলাকায় ইমাদ পরিবহনের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তিনিসহ তার স্ত্রী-পুত্র ও অটোচালক গুরুতর আহত হন।
সন্ধ্যায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাজিবের মৃত্যু হয়। এসময় অটোচালক রাকিবের মৃত্যু হয়। নিহত রাজিবের স্ত্রী ও পুত্র খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কাজী মশিউর রহমান পিরোজপুর শহরের টাউন স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মুজিবুর রহমানের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। অঝোরে কেঁদেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মশিউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মশিউর রহমানকে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও গোপালগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কি. এম. মাহবুব। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় মশিউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, স্যার প্রচণ্ড মিশুক ছিলেন, আমাদের অনেক সময় দিতেন। চারিত্রিকভাবে তিনি মতপার্থক্য বৈচিত্র্যের সমর্থক ছিলেন এবং প্রতিটি মানুষের মতামতকে শ্রদ্ধা করতেন।
বশেমুরবিপ্রবি ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, মশিউর রহমান অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
বশেমুরবিপ্রবি সাবেক উপাচার্য (রুটিন) ও বর্তমান পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান বলেন, তিনি শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষাই নয় শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে ভীষণভাবে উৎসাহিত করতেন।