Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

পদ্মার চরে বাদাম তোলায় ব্যস্ত কৃষক

Icon

এসএম জামাল, কুষ্টিয়া

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২২, ১৪:১২

পদ্মার চরে বাদাম তোলায় ব্যস্ত কৃষক

কৃষাণ-কৃষাণীরা ক্ষেত থেকে এখন বাদাম তোলায় ব্যস্ত। ছবি- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, মরিচা ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে মাইলের পর মাইল চর পড়েছে। বন্যার পর চরের মাটিতে পলি জমায় মাটি ঊর্বর হওয়ায় অতিরিক্ত সার, সেচ, কীটনাশক দিতে হয় না। ফলে বীজ রোপণের তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তোলা হচ্ছে।

চরজুড়ে এখন বাদাম তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। দৌলতপুরে উৎপাদিত বাদামের মান ভালো হওয়ায় প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে বাদাম কিনে নিয়ে যায়। রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, মরিচা ও ফিলিপনগর চরসহ বিভিন্ন চরে কৃষকেরা বাদামের চাষ করেছেন।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কৃষাণ-কৃষাণীরা ক্ষেত থেকে এখন বাদাম তোলায় ব্যস্ত।

চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে প্রায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে চীনা বাদামের চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ৭-৯ মণ হারে ফলন হয়েছে। তিন হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে লাভ হওয়ায় দরিদ্র চাষিদের মুখে হাসি ফিরেছে।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাদাম চাষি সাহাবউদ্দিন বলেন, এবার ৬ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। যে জমি এক সময় কোনো কাজেই আসত না, সেই জমিতে বাদাম ফলিয়ে অনেক লাভবান হচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, তামাক চাষে অনাগ্রহী করতে চরের সব অনাবাদি জমি কীভাবে বাদাম চাষের আওতায় আনা যায় সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। দৌলতপুরে পদ্মার চরে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে কোনো ফসল হয় না। এসব জমি বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে একদিকে যেমন চরের দরিদ্র কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব হবে, অন্যদিকে অর্থকরী ফসল বাদাম চাষ করে কৃষকের সারা বছরের আর্থিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন চরবাসী।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫