যশোরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ শীর্ষ চার নেতার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও রূপদিয়া বাজারে মিছিলে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। 

আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ, মারুফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। এ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নেতাদের বাড়িতে এ হামলা করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে অপরিচিত ২০/২৫ জন দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারযোগে প্রথমে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর পর্যায়ক্রমে সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদস্য মিজানুর রহমান খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ ও ইটপাটকেল ছুড়ে ঘরের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। তাদের ছোঁড়া ইট ও কাচের বোতল ঘরের ভেতরে চলে যায়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন শিশু পরিবারের সদস্যরা। একই সময় হামলাকারীরা মিজানুর রহমান খানের একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করেছে। 

অপরদিকে গতকাল সকলে শান্তিপূর্ণ পথসভা শেষে একটি মিছিল রূপদিয়া বাজারে যাওয়ার সময় হামলা শিকার হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

তবে, বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেছেন, শান্ত যশোরকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে রাজপথে তা প্রতিহত করা হবে। তারা নিজেরা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে  দায়ী করছে।