Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

শীতে কাঁপছে উত্তরের মানুষ

Icon

বাবলুর রহমান বারী, রংপুর

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৬

শীতে কাঁপছে উত্তরের মানুষ

শীতেও থেমে নেই শ্রমজীবী মানুষ ছবিটি মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল এলাকা থেকে তোলা। ছবি: রংপুর প্রতিনিধি

পৌষ শুরুতে  হাড় কাঁপানো শীত আর হিমেল হাওয়ায় চরম বিপাকে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এরই মধ্যে উত্তরের জেলাগুলোতে শীত জেঁকে বসেছে। তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ।

কষ্টে আছে শিশু ও বয়স্করা। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে শিশুরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন  হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল গুলোতে হঠাৎ করে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত একদিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়া ৫৯১ শিশুকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর গত ১৫ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৮ হাজারের বেশি শিশু। এর মধ্যে শুধু রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডায়রিয়ায় নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগী আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয় ৯১৭ জন। যাদের বয়স ১ মাস থেকে দেড় বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ৮ শিশু ইতোমধ্যে মারা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি শয্যায় একাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। বেড না পেয়ে অনেক শিশুকে মেঝেতে বিছানা পেতে রাখা হয়েছে । রোগীর চাপে নার্স ও চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শামছুন্নার জানান, এবার কোল্ড ডায়রিয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চলতি মাসে প্রতিদিন কম বেশি ৭০-৮০টি শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সামনে শীত বেশি হলে রোগীর চাপ আরো বাড়াবে কয়েকগুণ বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, শীতজনিত রোগের কারণে ১ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী বেশির ভাগ শিশুই এখন জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আগে এ ধরনের পরিস্থিতি ছিল না। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি সপ্তাহে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে এবং শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে পারে। এখন তাপমাত্রা ৮ থেকে ৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। চলতি মাসে আবারো শৈত্য প্রবাহ আরো হতে পারে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫