পাবনা সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি গঠন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবুর তিন ভাইয়ের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শান্তর বাসায় হামলা ও গুলির অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার মা সীমা খাতুনের হাতে ও মাথায় গুলি লাগলে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানা গেছে।
গতকাল রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের নলমুড়া বোর্ডপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে পাবনা সদর থানায় অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার রাত ৯ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মালঞ্চি ইউনিয়নের হাড়িবাড়িয়া এলাকার মৃত আব্দুল করিম বিশ্বাসের ছেলে ও ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবুর ভাই মো. আলো (৪৫), মো. মামুন (৫১), মো. কায়েসের (৪০) নেতৃত্বে হামচিয়াপুরের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মো. প্রিন্স, পার গোবিন্দপুরের মৃত কাইয়ুমের ছেলে মো. আজাদ (৪২), মমিনের ছেলে মো. সুমন (৩২), নতুর ছেলে মো. শামীম (৩৩), মামুনের ছেলে মো. মুন (২৬), মো. শুভ (২৭), আসাদুজ্জামানের ছেলে রুবেলসহ ৩০/৪০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হাতে বন্দুক, চাপাতি, রামদা, জিআইপাইপ, লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশ ইত্যাদি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাজেদুর রহমান শান্ত ও তার বাবা ইউপি সদস্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম হোসেনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে।
মালঞ্চি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন বলেন, তারা আমি ও আমার ছেলে শান্তকে হত্যা করতে এসেছিল। আমাদের দুইজনকে না পেয়ে বাড়িতে গুলি চালিয়েছে। এসময় আমার স্ত্রী সীমা খাতুন এগিয়ে আসলে তাকে গুলি করা হয়।
মালঞ্চি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শান্ত বলেন, চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবু তার ভাইদের লেলিয়ে দিয়ে আমার বাড়িতে গুলি করেছে। এতে আমার মায়ের মাথায় ও হাতে গুলি লাগে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে যারা থাকে সবাই ইয়াবা ব্যবসা করেন। কিছুদিন আগেও একজন ইয়াবা ধরা পড়েছিল। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমাদের উপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন।
মালঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবু বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে এটার সঙ্গে আমি ও আমার পরিবারের কেউ জড়িত না। ইউপি সদস্য আসলাম নাকি আমাকে গালিগালাজ করছিল এটা শোনার জন্য তাদের বাড়ির ওখানে গেয়েছিল। আমার ভাইয়েরা চলে আসার পরে তারা এসব নাটক সাজিয়েছে। যে ঘটনার ন্যূনতম কোনো সত্যতা নেই।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধ বালা বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নিজেরা নিজেরা ঝামেলা করেছিল। সেখানে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত করার জন্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh