মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কমরদি বাজারে স্বর্ণের দোকান বাবুল জুয়েলারিতে চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে গাংনী থানার এসআই আশিকুর রহমান ও এসআই শোয়েবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক দুটি টিম কুষ্টিয়া শহর ও মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে তাদেরকে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া সোনা ও রুপার গহনা। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- গাংনীর করমদি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সুলতান বাদশা (২২) মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের নোমান হোসেন (২০), নান্টু মিয়া (৩০) ও মেহেরপুর দায়িরাপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে ফজল হক (৪০)।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৯ আগস্ট রাতে করমদি বাজারের বাবুল জুয়েলার্সের টিনের ছাউনি কেটে গহনা চুরি হয়। পুলিশের অভিযানে চুরির মূলহোতা করমদি গ্রামের সুলতান বাদশাকে প্রথমে কুষ্টিয়া থেকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে মেহেরপুরের মুজিবনগরের দারিয়াপুর ও বিদ্যাধরপুর গ্রামের পৃথক অভিযান চালিয়ে অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া সোনার ২৪টি নাকফুল, গলানো সোনা ৩ রতি, রুপার বালা সাত জোড়া, একটি চাঁদি মালা ও ৫ আনা ঝুমকা উদ্ধার করেছে।
ওসি আরো জানান- গ্রেপ্তারকৃত সুলতান বাদশা বছরখানেক আগে তার শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই মামলায় জামিনে আছেন তিনি। বাবুল জুয়েলার্সের গয়না চুরির পর তার পূর্ব পরিচিত বিদ্যাধরপুর গ্রামের নোমানের কাছে নিয়ে যায়। নোমানের মাধ্যমে দায়িরপুর বাজারের জুয়েলার্স ব্যবসায়ী নান্টু ও ফজলের কাছে বিক্রি করে সুলতান বাদশা। পরে জুয়েলার্স মালিকের দায়ের করা মামলায় তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা করা হলে বৃহস্পতিবার আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh