লালমনিরহাটে হত্যার বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৭

ভ্যানচালক হত্যার বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
হত্যাকাণ্ডের তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশ হাতীবান্ধার ভ্যানচালক মানিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ভ্যান চুরির ঘটনায় মানিকুলের সাথে সিরাজুল ইসলাম ও রশিদুল ইসলাম নামে আরো দুইজন ভ্যানচালক জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলেও তাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ফলে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সন্দেহের বেড়াজালে নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে তার প্রতিবেশীরা।
আজ রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহা সড়কে মানববন্ধন শেষে এ সড়ক অবরোধ করেন তারা। মানিকুলের পরিবারের দাবি সিরাজুল ও রশিদুলকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের হবে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানান, গত ১৩ জানুয়ারি হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বাবুল নামে এক ব্যক্তির একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনায় সন্দেহ করা হয় সিঙ্গিমারী গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে মানিকুল ইসলামকে। ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ মানিকুল।
১৯ জানুয়ারি ওই উপজেলার রমনীগঞ্জ এলাকা থেকে মানিকুলের মাথাবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এক দিন পর দালালপাড়া এলাকা থেকে মাথা, মোবাইল ও ছুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর পরেই বাড়ি ছাড়া হন সিরাজুল ও রশিদুলও। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার মানিকুলের মা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও তিনদিনে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রবিবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের গেটে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধে অংশ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার মানিকুলের স্ত্রী শাকিলা বলেন, আজ ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলে এখনো এ হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত তা পুলিশ বের করতে পারেনি। আমি আমার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই এবং কেন এখনো হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হলো না তা জানতে চাই।
স্কুল শিক্ষক আজিজুল বারী বলেন, চুরি হওয়া ভ্যান উদ্ধার হলো। ওই চুরির সাথে কারা কারা জড়িত তা প্রমাণিত। তাহলে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু পরিষ্কার। তারপরও পুলিশ তাদের কি কারণে গ্রেপ্তার করতে পারছে না। পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের সান্ত্বনা দিতে সন্দেহের বেড়াজালে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করতে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার হবে।