শেরপুরে বন্ধ ঘোষণার দুদিন পর ফের চালু অবৈধ ২ ইটভাটা

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

ইটভাটা। ছবি: প্রতিনিধি
শেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে অবৈধ দুটি ইট ভাটা বন্ধ ঘোষণার দু’দিন পর ফের চালু হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি শেরপুরে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা ও বনের কাঠ পুড়ানোর দায়ে দু’টি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম।
এছাড়াও ওই সময় দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ফায়ার সার্ভিস দিয়ে চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন- শেরপুর জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস। বন্ধ হওয়া ইট ভাটা দু’টি হলো শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর এলাকার ফাতেমা ব্রিকস এবং সদর উপজেলার এমএস ব্রিক ফিল্ড।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভ্রাম্যমান আদালতের ভাটা বন্ধের নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে ইট প্রস্তুতের সব আয়োজন। শ্রমিকদের কেউ মাটি ভাঙছেন, কেউ ইট তৈরি করছেন, আবার কেউ ব্যস্ত চুল্লির আগুন জ্বালাতে। কিছুক্ষণ পরপর ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে মাটির গাড়ি। নিয়ে আসা হচ্ছে বনের কাঠও। দেখে বোঝার উপায় নেই দু’দিন আগে ওই দুটি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইট ভাটার কয়েকজন শ্রমিক জানান, ভাটা কোন সময়ই বন্ধ হয়নি। ভাটা বন্ধ ঘোষণার দুই ঘন্টা পরই আবার ইট পুড়ানো শুরু হয়েছে।
ফাতেমা ব্রিকস মালিক ফারুক হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেক বছরই জরিমানা করে এবং বন্ধ ঘোষণার কথা বলে যায়। এটা তাদের রুটিন ডিউটি। শেরপুরের সব ইটভাটা এভাবেই পরিচালিত হয় আমিও ওই ভাবেই ভাটা চালাচ্ছি।
এসএম ব্রিকস মালিক মোতালেব হোসেন বলেন, এই বছর ভাটায় আগুন দেওয়ার আগে ডিসি অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছি। সরকারকে সাড়ে চার লাখ টাকা ভ্যাট দিয়েছি। এভাবে হুট করে বন্ধ ঘোষণা করার কথা বললেও ভাটা বন্ধ করা যাবে না। অনুমতি নেওয়ার সময় তাদের বলা উচিত ছিলো ভাটা চালানো যাবে না। তাহলে আমরা ভাটায় আগুন দিতাম না।
শেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর কুতুবে আলম সিদ্দিক বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আমরা বুধবার দুটি ইট ভাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তারা আবার কিভাবে ভাটা চালাচ্ছে। এটা তারা করতে পারে না। আপনি এই ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কথা বলতে পারেন।