ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বালিয়াড়িতে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। এসবের মধ্যে সৈকতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখার জন্যে ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ।

আজ রবিবার (২৬ মে) সকালে এমন পরিস্থিতিতে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ঢেউ দেখতে নামেন হাজার হাজার মানুষ। পর্যটকদের পাশাপাশি ভিড় করছেন স্থানীয়রাও।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে সৈকতে আসা পর্যটক ইয়াসমিন সুলতানা বলেন , ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে মেয়েকে নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। এখান সাগর খুবই উত্তাল, দেখতে অনেক ভালো লাগছে। ছবি তুলছি, শামুক-ঝিনুক কুড়িয়েছি। আগে কক্সবাজার অনেক আসা হয়েছে। তবে এবার ঘূর্ণিঝড়ের সময় আসা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় কক্সবাজার সাগর কেমন হয় তা দেখতে পেলাম।

স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ঢেউগুলো অনেক বড় দেখাচ্ছে। সামনে থেকে উপভোগ করে আসলে ভয় কাজ করছে। কিন্তু খুবই মজা পাচ্ছি। এই বিষয়টি পর্যটকরাও বেশ ভালো উপভোগ করছেন। তবে সকাল থেকে কাউকে নোনাজলে নামতে দিচ্ছে না লাইফ গার্ড কর্মীরা।

সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত (সবশেষ তথ্য) দেখানো হয়েছে। তাই সাগর উত্তাল রয়েছে। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। লাল পতাকা মানেই সতর্ক করা, যাতে কেউ সমুদ্রস্নানে না নামেন। আমরা কাউকে সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামতে দিচ্ছি না।

আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।