শেবাচিম হাসপাতালে আগুন, নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখবে কর্তৃপক্ষ

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ২৩:৪৭

শেবাচিম হাসপাতালে আগুন। ছবি- বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আগুন আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করতে গিয়ে কম-বেশি আহত হয়েছেন কয়েকজন। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় কিডনী ডায়ালাইসিস ইউনিটে এই ঘটনা ঘটে। এসময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন রোগীর স্বজন রাহাত নামের এক যুবক।
ফায়ার সার্ভিস বরিশাল সদর স্টেশনের স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানিয়েছেন, কিডনী ডায়ালাইসিন ইউনিটে স্টোর রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে তদন্ত ছাড়া বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজিবসহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর একাধিক স্বজন জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই হাসপাতালের তৃতীয় তলায় কিডনী ডায়ালাইসিস ইউনিটের পাশের স্টোর রুমের মধ্যে থেকে অনেক ধোয়া বের হতে দেখেন। পরে ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখতে পান।
এসময় ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগী এবং তাদের স্বজনরা আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করলে অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে পড়েন। দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে অনেকে কম-বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
কিডনী ডায়ালাইসিস ইউনিটের সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি খানম বলেন, ডায়ালাইসিস ইউনিটে ১৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। আগুন লাগার সাথে সাথে তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। তাছাড়া ঘটনার সময় রোগী এবং তাদের স্বজনরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহযোগিতা করেন।
তিনি বলেন, স্টোর রুমে কোন দাহ্য পদার্থ ছিল, যা দ্বারা আগুন লাগতে পারে। স্টোর রুমে ফ্লুইট পানি, কাগজের কাভারিংসহ কিছু মালামাল ছিল। যেগুলো রোগীদের ডায়ালাইসিসের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই কিভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটলো তা বলতে পারছি না।
বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে। প্রায় ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না, কিভাবে আগুন লেগেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আমার জানামতে স্টোর রুমে এমন আগুন আগে লাগেনি। তাই এটি নাশকতা কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বের করা হবে।