ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর পূর্ব বেতাল গ্রামের আল আমিন রনি (২৪)।
মা মেরিনা বেগম এবং ছোট ভাইকে নিয়ে রাজধানীর মহাখালীর একটি বসতিতে বসবাস করতেন তিনি। মা অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকা এবং নিজে দিনে একটি ওয়ার্কশপের পাশাপাশি রাতে ফুটপান্ডার ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতো রনি। বাড়িতে তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ঘটনার দিন দুপুরে মায়ের কাছ থেকে একশত টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় রনি। বিকেলে মা শোনতে পান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে তার আদরের সন্তান। খবর পেয়ে ছুটে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মৃত্যুবরণ করেন।
বানারীপাড়ার চাখার শেরে বাংলা একে ফজলুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রনি। মহামারি করোনার সময় মৃত্যুবরণ করে বাবা। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে হয় রনিকে। আর তাই মা এবং একমাত্র ছোট ভাইকে নিয়ে পারি জমিয়েছিলেন ঢাকায়।
বাবার মৃত্যুর পর রনির মা এবং ছোট ভাইয়ের আশ্রয় হয় বৃদ্ধ নানা-নানির ঘরে। সেখানে একটি টিনসেড বিল্ডিংও বানিয়েছেন তিনি। তবে ঘরের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। আশা ছিল এ বছরই ঘরের সব কাজ শেষ করবেন। সেই আশা আর পুরণ হলো না। তার আগেই কোটাবিরোধী আন্দোলনে ঝড়ে গেলো তার প্রাণ।
সংসারে আয়ের একমাত্র উৎসই ছিল আল আমিন রনি। তাকে হারানোর পর চারদিক থেকে অন্ধকার নেমে আসছে পরিবারে। কিভাবে চলবে তাদের সংসার এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই পরিবারে। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন সন্তান হারা বিধবা মেরিনা বেগম।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh