চট্টগ্রামের কোতোয়ালীর পুরান ফিশারীঘাটে মনোহরখালী মন্দির। গতকাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) মধ্যরাতে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি আইডি থেকে জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর দেওয়া হয়। এই মন্দির থেকে একটু দূরে জগন্নাথ মন্দির। আছে রক্ষাখালী মন্দিরও। এসব মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয় বলেও ফেসবুকের ওই সব পোস্টে দাবি করা হয়।
কিন্তু আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরেজমিন দেখা গেল, সব মন্দির-ই অক্ষত রয়েছে। কোনো ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি।
কোতোয়ালীর পাথরঘাট পুরান ফিশারীঘাট এলাকার মনোহরখালী মন্দিরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রার্থনা করছিলেন বিপুল দাশ ও রতন কুমার। তারা বলেন, এই মন্দিরে কোনো হামলা হয়নি। জ্বালিয়ে দেওয়ার খবরও মিথ্যা। এই এলাকায় রক্ষাখালী ও জগন্নাথ মন্দিরেও কোনো হামলা হয়নি।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের ঘাটফরহাদবেগ আরোহন ক্লাবে সংখ্যালঘুর বাসায় ডাকাতির খবর সুবির চৌধুরী চট্টগ্রাম নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। সেখানে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, ডাকাতির এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে, চোর সন্দেহে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মো. ওবায়দুল হক বলেন, ‘কোতোয়ালী থানা এলাকায় কোনো মন্দির বা সংখ্যালঘু বাড়িতে হামলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা গতকাল শুক্রবার থেকে স্বল্প পরিসরে কাজ করছি।’
ইচ্ছে করেই কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে হিন্দু ভাইদের মাঠে নামিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা হিন্দু ভাইদের প্রতিটি মন্দিরে পাহারা দিচ্ছি। মূলত দেশের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বিভিন্ন হামলা করছে।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh