পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল আজহারীকে লেখা চিঠি

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তবে এবার তিন মাস ২৭ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পাগলা মসজিদে দান করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয় এই আশা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এখানে দান করে থাকেন।

আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় ৯টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক থেকে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সাথে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এছাড়া মিলেছে চিঠি। এচিঠিতে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাক্ষাতের মনোবাসনা ব্যক্ত করেছেন এক ব্যক্তি।

চিঠিতে নামপরিচয় বিহীন একজন লিখেছেন- ‘১২ বছর ধরে আমার এই কষ্ট শুধু কুফরি জ্বালা। যারা আমারে এই কষ্টে জ্বালায়ছে, আমি তোমার কাছে তাদের বিচার চাই না। বিনিময়ে আমার নামাজের সাওয়াব তাদেরকে দিয়ে দিও। আমি মানুষের ক্ষতি করতে চাই না। আমি শুধু তোমাকে চাই আল্লাহ। তুমি আমার আল্লাহ। আমার জীবনের ইসলামের নায়ক মিজানুর রহমান আজহারী। আল্লাহ আমার মরণের আগে মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত চাই।’

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ৩ মাস ২৬ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। যেখানে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫ জন পুলিশ সদস্য ৯ জন আনসার সদস্য, ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ৩০ জন সেনা দস্য উপস্থিত ছিলেন। গণনা কাজে ২৪৫ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। দিনভর গণনা শেষে রাতে মোট টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় ২২০ জনেরও বেশি লোক এ টাকা গণনায় অংশ নেন। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //