চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতুতে একটি চলন্ত বাসে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে বাসটির ড্রাইভার এবং হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুনব্রিজ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মো. ছৈয়দুল হকের ছেলে হেলপার সাহেদুল ইসলাম মিজান ও পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মৃত হাশেম খানের ছেলে ড্রাইভার আজাদ খান প্রকাশ রানা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকা থেকে মিনিবাসে উঠে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
বাসের অন্যান্য যাত্রীরা সবাই মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নেমে গেলে ওই তরুণী বাসে একা হয়ে পড়েন। পরে বাসটি শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা পার হতেই তাকে একা পেয়ে হেলপার মিজান চলন্ত গাড়িতে তাকে পেছনের সিটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেন, এ সময় ওই তরুণী প্রতিবাদ করলে তাকে কানে থাপ্পড় মারা হয়। এরপর বাসের হেলপার তাকে ধর্ষণ করেন।
পরে বাসটি শাহ আমানত সেতু পার হয় নতুন ব্রিজের চত্বর ঘুরে আবারও সেতুতে উঠে যায়। তারা পটিয়ার দিকে রওয়ানা দেয়। পুনরায় সেতুতে উঠে পরে ড্রাইভারও ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। জানা গেছে, বাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে রাত ১১টার দিকে পটিয়া শান্তিরহাট বাজারে এসে তরুণীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কর্ণফুলী থানায় হেলপার ও ড্রাইভার দুজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ধর্ষণ মামলায় দুইজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh