নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান রাজুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একটি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) নেত্রকোণা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
একই মামলায় তার সঙ্গে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হুমায়ূন কবীরসহ আরও পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেলা বিজ্ঞ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আতিকুর রহমান টানা দুইবারের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন জয়ী হোন। তিনি জেলা কৃষক লীগের সদস্য ছিলেন। জানা যায়, আসামী পক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট এমএ গোলাম রব্বানী।
মামলার এজাহার ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন দুপুরে বাউসী রোড এলাকায় সম্মেলনস্থলে হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা প্যান্ডেল, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার দুই বছর পর গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলায় রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সদস্য আতিকুর রহমানসহ ৬০ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে আতিকুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু সহ তার ছোট ভাই মেহেদী হাসান মামুন, তার মামা সাবেক সেনা সদস্য মুখলেছুর রহমান তালুকদার, রায়পুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মঞ্জু ফকির, ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবীর, সাবেক ইউপি সদস্য কাছম আলীসহ ছয়জন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চায়। কিন্তু বিচারক একেএম রাকিবুল হাসান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh