ঢাকায় দেড় কোটি টাকার ফ্ল্যাট, রাজশাহীতে ৭ কোটি টাকার ৫ তলা বাড়ী, নিজ গ্রামে ২ কোটি টাকার আলীশান বাড়ী, ৫৩ লাখ টাকায় ১.১৫ একর জায়গা কিনে ২ কোটি টাকার জায়গা জালিয়াতি করে জবর দখল, রাজশাহী, গোদাগাড়ী ও আশ-পাশের অঞ্চলে আরো ৭-৮ টি জমি নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন। চড়েন একটি বিলাসবহুল গাড়ীতে। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্য। তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। তাহলে এত সম্পদ কিভাবে? নিশ্চয় তার বেতন কোটির অংকে!
না, বেতন কোটির অংকে নয়; হাতে আলাদিনের চেরাগ থাকলে কি আর কোটি টাকার বেতন লাগে? তিনি ছিলেন আওয়ামী সরকারের আমলে খাদ্য অধিদপ্তরের বদলি-পদোন্নতি-পদায়ন-ঠিকাদরি-ঘুষ সহ যাবতীয় দুর্নীতির নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেটের সদস্য, এটাই ছিল তার আলাদিনের চেরাগ।
সম্প্রতি এমনই সব বিষয় তুলে ধরে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর ‘রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য (RC) অধিদপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী শেখ মোঃ মাহবুব হোসেন, পিতা-শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, জমি দখল ও টেন্ডার বাজির মাধ্যমে বাড়ী, গাড়ীসহ প্রায় ৬০-৭০ কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে’ লিখিত অভিযোগ করেছেন খোদ খাদ্য ভবনের সামিউল ইসলাম নামে এক অফিস সহকারী।
এই কোটিপতি উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নাম শেখ মো. মাহবুব হোসেন৷ তিনি রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধীনে রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে কাজ করেন।
কথা বললে অভিযুক্ত শেখ মাহবুব হোসেন বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে অপদস্ত করতেই এই অভিযোগ। আমি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে একটি জমি বায়নানামা করেছি, সেটা দখল না দিতে ঐ জমির মালিক এগুলো করাচ্ছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh