ফেনী সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা থেকে বাংলাদেশি এক যুবককে ভারতীয়রা ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে মারধর করে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে পরশুরাম উপজেলার বাউর পাথর এলাকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এমন ঘটনা ঘটে। অপহৃত ওই যুবকের নাম ইয়াসিন (১৯)। তিনি পরশুরাম পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাউর পাথরের মাজার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মিজান।
স্বজনরা জানান, ভোরে ইয়াসিন বাড়ির পাশে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকার জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় সীমান্তের ভারতীয় নাগরিকেরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভারতীয় নাগরিকদের আপলোড করা ছবি দেখে ইয়াসিনকে অপহরণের তথ্য জানা যায়।
এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
ইয়াসিনের স্ত্রী বলেন, ফেসবুকে আমার স্বামীর ছবি দেখে বোঝা যায় তাকে ভারতীয়রা নিমর্মভাবে মারধর করেছে। আমার একটা মেয়ে আছে। স্বামীর কিছু হলে আমরা ভেসে যাবো। স্বামীকে ফিরে পেতে আমি সরকারের সহযোগিতা চাই।
স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর পরশুরামের বাঁশ পদুয়া সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি কৃষক মেজবাহার। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা তার লাশ নিয়ে যায়। তার মৃতদেহ পরশুরামের বিলোনীয়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৭ দিন পর ফেরত দেয়া হয়।
এবার ইয়াসিনের ভাগ্যে এমন কিছু ঘটবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আর একের পর এক এমন ঘটনায় সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড সংলগ্ন বাংলাদেশ ভূখণ্ডে চাষাবাদ ঝুঁকিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক ইয়াছিনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ বা সেখানকার পুলিশ আটক করেনি। তাকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে দেশটির পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি বর্তমানে ভারতীয় পুলিশ হেফাজতে আছেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh