টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী বাবু হত্যার ঘটনায় ২ ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০১

গ্রেপ্তারকৃত দুই ডাকাত সদস্য। ছবি: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহাসড়কে বস্তা ফেলে ডাকাতিকালে কলা ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক বাবু (৪৫) হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে উপজেলার পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন (২৬) এবং একই গ্রামের মঞ্জু সওদাগরের ছেলে সোহাগ সওদাগর (২৬)।
নিহত তোজাম্মেল হক বাবু (৪৫) জয়পুরহাট জেলা সদরের নাজিপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) কলা ব্যবসায়ী তোফাম্মেল হক বাবু নওগাঁ থেকে পিকআপ যোগে কলা নিয়ে ঢাকার আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকার পুষ্টকামুরী ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পিকআপের চালক জুয়েল মহাসড়কের ওপর একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় চালক গাড়ি থামিয়ে মহাসড়ক থেকে বস্তা তুলতে গেলে সেখানে আগে থেকে থাকা ডাকাত দল গাড়িতে বসে থাকা কলা ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক বাবুর ওপর হামলা চালায়। এ সময় ডাকাতরা তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করার চেষ্টা চালায়। তিনি বাধা দিলে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তোজাম্মেল হক বাবু গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পিকআপে থাকা নিহত বাবুর চাচাতো ভাই মো. নাহিদ হোসেন ঘটনার পর দিন ১৬ ডিসেম্বর অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার একদিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়া থেকে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। বিল্লালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি একই এলাকার সোহাগ সওদাগরকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার সোহাগকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনা ঘটার ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেওয়া তথ্যে অপর আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।