গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাঁওতাল নারীকে মারধর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
এতে রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রাজাহার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য।
গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে আহত নারী ফিলোমিনা হাসদার ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে গোবিন্দগঞ্জের রাজাবিরাট গ্রামের বিরোধপূর্ণ জমিতে মারধরের শিকার সাঁওতাল নারী বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বজনদের অভিযোগ, রাজাবিরাট গ্রামের পাশে সাঁওতালদের পৈতৃক জমি আছে। জমিটি পতিত অবস্থায় ছিল। সেই জমিতে শুক্রবার সকালে মাটি ভরাট করছিলেন রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। হঠাৎ মাটি ভরাট দেখে কয়েকজন সাঁওতাল যুবক বাধা দেন। এর জের ধরে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন প্রথমে নিকোলাস মুরমু নামে এক যুবক ও পরে ফিলোমিনা হাসদা নামে সাঁওতাল নারীকে মারধর করেন। ফিলোমিনা হাসদাকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে বাড়িতে চেয়ারম্যানের লোকজন আগুন লাগিয়ে দেন। এতে মাটির ঘরের আসবাবপত্র ও টিনের চাল পুড়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ তাদের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে রাজাহার ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এক বাঙালির কাছ থেকে জমি কিনেছি। আমার কেনা সম্পত্তি আমি দখল চেয়েছি। সেটা তারা দিতে রাজি নয় এর জন্য তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে আমাকে সম্মানহানি ও ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, মারধর ও বাড়িতে আগুনের ঘটনায় আহত নারীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh