জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৬

গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ডিসি উদ্যানে মুক্ত স্থানে প্রায় চার শতাধিক বই নিয়ে শুরু করা হয়েছে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’-এর কার্যক্রম। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে একদল তরুণ লেখক জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’-এর মাধ্যমে। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছে ‘শেরপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন।
প্রায় এক মাস আগে গঠিত এ সংগঠনের সভাপতি রাহাতুল ইসলাম জানান, সাহিত্যকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং শহরের বিভিন্ন পার্কে আড্ডা ও অসামাজিক কাজ বন্ধের লক্ষ্যে কিংবা ইন্টারনেট ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে নেতিবাচক সব কর্মকাণ্ডে লিপ্তদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ। গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিকভাবে শেরপুর শহরের ডিসি উদ্যানে মুক্ত স্থানে প্রায় চার শতাধিক বই নিয়ে শুরু করা হয়েছে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’-এর কার্যক্রম। বইগুলো বস্তা ভরে এনে উদ্যানের একটি বেঞ্চের ওপর সাজিয়ে রেখে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার মধ্যে বইগুলো আবার উঠিয়ে নেওয়া হয়। সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এ ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’-এর কার্যক্রম চালানো হয়।
তিনি আরো জানান, গত এক মাসে এই উদ্যানে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন পাঠক বই নিয়ে আশপাশের বিভিন্ন বসার স্থানে বসে বইগুলো পড়ে আবার ফেরত দিয়েছে। গত এক মাসে দুই শতাধিক পাঠক এই উদ্যানে এসে বই পড়েছে। আবার আমাদের সংগঠনের সদস্য এবং সদস্য ছাড়া প্রায় ৬০ জন পাঠক বাড়িতে পড়ার জন্য বই নিয়ে গেছে । এসব বই বাড়িতে পড়ে আবার কেউ কেউ ফেরত দিয়ে গেছে। আগামীতে আমরা শহরের অন্যান্য পার্ক এবং বেড়ানোর স্পটগুলোতে এই ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ কার্যক্রম চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছি।
ডিসি উদ্যানে বেড়াতে আসা শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইমা জাহান ছোঁয়া জানায়, বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। বাসায় পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি প্রচুর বই পড়ি। আমি ইতোমধ্যে এখান থেকে বেশ কিছু বই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়ে আবার ফেরত দিয়েছি। আজকেও একটি বই নিলাম। ইতোমধ্যে যেসব বই নিয়ে পড়েছি।
শেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী রোহান জানান, উদ্যোগটি চমৎকার। এখানে মাঝে মাঝে বেড়াতে আসি। বেড়াতে এসে দেখলাম, এখানে বাড়িতে নিয়ে বই পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমি আজ দুটি বই নিলাম।
শেরপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রাহাতুল ইসলাম জানান, প্রতি সপ্তাহে দুইবার বইগুলো আনা-নেওয়া একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে এই উদ্যানে একটি স্থায়ী বুক কর্নার বা বুক সেলফ চেয়েছি।