নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ এএম
আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ এএম
মোংলা বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে রেলে পণ্য পরিবহন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ৩০টি ওয়াগনের মাধ্যমে এক হাজার ৫০ টন চিটাগুড় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে নেয়া হয়। বাকিগুলো সড়কপথে ও রেলে ধাপে ধাপে নেয়া হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি পানামা পতাকাবাহী এমটি ডলফিন-১৯ জাহাজে করে হাজার ৫০০ মেট্রিকটন চিটাগুড় মোংলা বন্দরে আমদানি হয়। এরপর সেই পণ্য আনলোড করে মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সেখান থেকে শুক্রবার দুপুর হতে রেলযোগে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে নেয়া হয় চিটাগুড়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুক্রবার মোংলা বন্দর দিয়ে রেলযোগে যে পণ্য পরিবহন হয়, সেটি অনানুষ্ঠানিক। এটি আনুষ্ঠানিক না। খুলনা-মোংলা রেলপথ নিয়ে মহা-পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেসব পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলের অন্যতম মেগাপ্রকল্প ছিল খুলনা-মোংলা রেলপথ। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও পণ্য পরিবহন সুগম করা। কিন্তু সেটি দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
মোংলা বন্দর বার্থ-শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পণ্য পরিবহনের ট্রেন চালু না হওয়ায় এ প্রকল্প থেকে ব্যবসায়ীরা কোনো সুফল পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের সুফল পেতে হলে মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়। ১৪ বছরে এই মেগা প্রকল্পে ব্যয় হয় চার হাজার ২৬১ কোটি টাকা। যার মধ্যে দুই হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh