ধর্ষণের অভিযোগে আটক শিক্ষককে আদালত চত্ত্বরে গণধোলাই

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:৫০

আদালত চত্ত্বরে উপস্থিত স্থানীয় জনতা ওই শিক্ষককে গণধোলাই দেয়। ছবি: প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর শনিবার তাকে আটক করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার সকাল ১০টায় তাকে আদালতে নিয়ে আসা হলে আদালত চত্ত্বরে উপস্থিত স্থানীয় জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। এ সময় তাকে আদালতে তোলা সম্ভব হয়নি। পরে তাকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়।
এর পরপরই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরগাঁও শহর। আদালত এলাকায় ছাত্রী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানায়। এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তাদের দাবি, “অপরাধীর ফাঁসি চাই, ন্যায়বিচার চাই।”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।”
অন্য একজন অভিভাবক বলেন, “শিক্ষক হওয়ার পরও এমন নৃশংস কাজ করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমরা চাই, তাকে দ্রুত বিচার করা হোক এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ হোক।”
বিক্ষোভকারীরা ঠাকুরগাঁও শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, এই ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আদালতে তোলার চেষ্টা করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। আদালত এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।