Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ সময়ের দাবি

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৯

দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ সময়ের দাবি

নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি খাত হচ্ছে ‘সরকারি সেবা’। অথচ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সিটিজেন পারসেপশন সার্ভের (সিপিএস) সাম্প্রতিক তথ্য আমাদের বিস্মিত করেছে। জানা গেছে, গত এক বছরে যারা সরকারি সেবা গ্রহণ করেছে, তাদের প্রায় ৩২ শতাংশ ঘুস বা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি তিনজন নাগরিকের একজনকে সরকারি সেবা নিতে গিয়ে ঘুস দিতে হয়েছে অথবা দুর্নীতির ফাঁদে পড়তে হয়েছে। 

গত এক বছরে বিআরটিএতে সেবা নিতে যাওয়া নাগরিকদের ৬৩.২৯ শতাংশ ঘুস-দুর্নীতির শিকার হয়। এই হার আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় ৬১.৯৪ শতাংশ, পাসপোর্ট অফিসে ৫৭.৪৫ শতাংশ ও ভূমি নিবন্ধন অফিসে ৫৪.৯২ শতাংশ।

দুর্নীতি একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। একজন নাগরিককে যখন তার প্রাপ্য সেবা পেতে গিয়ে ঘুস দিতে বাধ্য হতে হয়, রাষ্ট্রের প্রতি তার আস্থা কমে যায়। তাই দুর্নীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা এবং দীর্ঘদিনের অবহেলার ফসল। 

এর আগে আওয়ামী সরকার বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’-এর কথা বললেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। সরকারি হাসপাতাল, ভূমি অফিস, পুলিশ প্রশাসন কিংবা শিক্ষা খাত, সব ক্ষেত্র দুর্নীতির এক অদৃশ্য ঘেরাটোপে বন্দি থেকেছে। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিও এর পরিবর্তন করতে পারেনি। তাই এ থেকে বেরিয়ে আসতে চাই বাস্তবসম্মত ও কঠোর পদক্ষেপ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা আরো শক্তিশালী করতে হবে। অপরাধী যে-ই হোক, তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল ও স্বচ্ছ করতে হবে, যাতে দালাল ও দুর্নীতিবাজরা কোনো সুযোগ না পায়। তৃতীয়ত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নাগরিক সচেতনতা এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫