
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ-সংক্রান্ত সংশোধন প্রকাশ করেছে এনসিটিবি। ফাইল ছবি
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা বিভিন্ন বইয়ের ভুল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পর ভুল স্বীকার করে সংশোধন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক ড. সন্তোষ কুমার ঢালী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ-সংক্রান্ত সংশোধন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এনসিটিবি প্রকাশিত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে নয়টি ভুল চিহ্নিত করে সংশোধনী দেওয়া হয়।
২০০ নম্বর পৃষ্ঠায় ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন’। এর স্থলে হবে ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন’ পড়তে হবে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।
২০২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘সংবিধান প্রণয়ন ১৯৭২ এর পটভূমি অংশের প্রথম অনুচ্ছেদের পরে যুক্ত হবে ‘সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছিল। সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা ছিল। তিনি সংবিধান কমিটিকে বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে প্রত্যক্ষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন’।
২০৩ পৃষ্ঠায় পঞ্চমভাগে জাতীয় সংসদ’ এর স্থলে ষষ্ঠ লাইনে ‘পঞ্চমভাগে আইনসভা’ পড়তে হবে।
১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প ও পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প’ এর পরিবর্তে পড়তে হবে ‘রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর’।
২৮ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য’। এর পরিবর্তে পড়তে হবে ‘সাধারণ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণ এ সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য’।
৫৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কাজ’-১ ক্রমিকের অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত হবে- ‘প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করেন ও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করেন। তিনি যেকোনো মন্ত্রীকে তাঁর পদ থেকে অপসারণের পরামর্শ দিতে পারেন’।