প্রেম করে বিয়ে, তালাক, অতঃপর প্রাণনাশের হুমকি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি অভিযোগ উঠেছে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনকে আহবায়ক ও এস্টেট অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিটির অন্যরা হলেন, সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেন, সাজ্জাদুর রহমান টিটু ও শরিফুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী বলেন, প্রেমের জের ধরে গত ১৮ নভেম্বর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর অভিযুক্ত তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ফলে গত ৩১ জানুয়ারি কাজির মাধ্যমে ভুক্তভোগী তাকে (হাফিজ) তালাক দেন। তালাকের পরও অভিযুক্ত তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক রাখতে চায়। এমনকি স্বামী স্ত্রীর গোপন ছবি ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেন। এতে আমি রাজি না হলে তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাকে আর উত্যক্ত না করার ও মারধর না করার দাবি জানান।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজ যৌথ সভায় লিখিত বক্তব্য দেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার উপর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে একদিন মেডিকেলে ডেকে প্রেগন্যান্ট দাবি করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। সেখানে তিনি আমার কলার ধরে ও মারধর করে। পরে আমার আগের একটা মেয়ের সাথে চবি ছিল সেটা ক্যাম্পাসের সবার ইনবক্সে দেয়। আমি এর বিচার দাবি করছি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যৌথ সভায় বসেছিলাম। সেখানে উভয়কে ডেকে তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। পরে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।