
এসি বাস ও পাজেরো গাড়ি। ছবি: ববি প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় কোটি টাকা মূল্যের একটি এসি বাস ও একটি পাজেরো গাড়ি নষ্ট হচ্ছে।
জানা যায়, কোটি টাকা মূল্যের ধানসিঁড়ি নামের বিলাসবহুল এসি বাসটি শিক্ষকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতো এবং পাজেরো গাড়িটি প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত হতো।
পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, ধানসিঁড়ি বাসটির বড় একটা যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাসটি এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে এবং পাজেরো গাড়িটি প্রকল্পের আওতায় হওয়ায় তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত এই গাড়িগুলো খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজছে। গাড়িগুলোকে যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে বডি, ইঞ্জিনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। গাড়িগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ-সম্পদ অপচয়ের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
গাড়িগুলো মেরামত না করে ফেলে রাখাকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি কোষাগারের অর্থের অপচয় বলেও দাবি শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আবীর বলেন, কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য অতি অল্প সংখ্যক বাস থাকে যা যথেষ্ঠ নয়। অনেক শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে এবং ঝুলে ঝুলে যায়। আশে পাশের কোন জেলায় বাস সার্ভিস নেই। এরকম অবস্থায় এত মূল্যের বাস এবং গাড়ি ফেলে রাখা আসলেই ঠিক না। ধানসিড়ি এই গাড়িটা যদি সম্ভব হয় মেরামত করে আশে পাশের রুটেও দেয়া যায়। শুধু তাই না- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিস এ প্রচুর সমস্যা রয়েছে- ড্রাইভারদের বাজে ব্যবহার, বাসে ফ্যান নেই, বি আর টি সি বাসের নেই ফিটনেস। এ সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান তমাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন মাঝে মধ্যে নতুন বাস কিনে শিক্ষার্থীদের আইওয়াশ করলেও পুরাতন বাসগুলো মেরামতে কোনো কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে না, ফলে শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যার কোনো সমাধান হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের ম্যানেজার মো. মেহেদী হাসান বলেন, ধানসিঁড়ি বাসটির একটি বড় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাসটি মেরামতের প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছি কিন্তু ঢাকার বাইরে হওয়ায় একটি সংস্থা মেরামত করতে পারবে না বলে প্রতিত্তরে জানিয়েছেন। আমরা যোগাযোগ করছি। মেরামতের জন্য ইউজিসির অনুমোদনের কিছু বিষয় আছে। অনুমোদন পেলে যতদ্রুত সম্ভব বাসটির যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা হবে।
পাজারো গাড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই গাড়িটি আমাদের পরিবহন পুলের কোনো গাড়ি নয়, গাড়িটি প্রকল্পের গাড়ি। প্রকল্পের গাড়ি হওয়ায় বর্তমানে গাড়িটি অব্যবহৃত অবস্থায় আছে।