Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

ক্যান্টিনের খাওয়া নিয়ে দুর্ভোগে ববি শিক্ষার্থীরা

Icon

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৩, ১২:০৩

ক্যান্টিনের খাওয়া নিয়ে দুর্ভোগে ববি শিক্ষার্থীরা

শেরে বাংলা হল। ছবি: প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিনের খাওয়া নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অপরিষ্কার ও নোংরা পরিবেশ এবং নিম্নমানের খাবার বিক্রি করায় শিক্ষার্থীদের বাহিরে বা পাশের হলে খেতে হচ্ছে। এতে করে সময় অপচয় ও বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। 

এ প্রতিবেদন করতে গিয়ে শেরে বাংলা হলের প্রায় ১০/১২ জন আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয়। শিক্ষার্থীরা জানান , কখনো মাংস থেকে আবার কখনো ডাল থেকে মাছের গন্ধ আসে। যে তেল দিয়ে মাছ ভাজা হয় ঐ তেল দিয়েই আবার এসব তরকারি রান্না করা হয় বলে এসব খাবার খাওয়া যায় না। একবার খাবার মুখে দিয়েই ফেলে দিতে হয় ৷ ডাইনিংকে নর্দমা করে রাখে। যার কারনে ডাইনিংয়ের বাসি খাবার খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

জানা যায়, শেরে বাংলা হলের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থী পাশের বঙ্গবন্ধু হলে খাবার খায়৷ ঐসব শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেরে বাংলা হলের রান্না মুখে দেওয়া যায় না। রাঁধুনির রান্না খুবই বাজে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বঙ্গবন্ধু হলে খেতে হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হলের রান্নার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে শিক্ষার্থীদের। তুলনামূলক ভালো বলছেন অনেকেই। 

শেরে বাংলা হলের ৪০১৪ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো যে এ হলে খবারের মান ও পরিবেশনের ব্যবস্থা খুবই নিম্নমানের। বাসি খাবার পরবর্তী খাবারের সাথে মিক্স করে পরিবেশন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ভোলা রোডের বিভিন্ন হোটেলে খাবার খেতে হয়৷ আমরা অধিকাংশ শিক্ষার্থী শেরে বাংলা হলের খাবার বয়কট করেছি। কিন্তু রাতে টিউশনি করে এসে পাশের হলে খাবার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাদের এই নিম্নমানের খাবার খেতে হয়। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এখন দায়সারা বক্তব্য শুনতে শুনতে আমরাও অভ্যস্ত হয়ে গেছি। 

শেরে বাংলা হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, কোন রকম বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। চালের মান অনেক খারাপ যেটাকে গ্রামের মানুষ বুলেট চাল বলে সেটা খাওয়ায় আমাদের। রান্নার অবস্থা এতো বাজে যে মনে হয়, রান্না করতে হয় তাই যেন করে। বেসিংগুলো অপরিষ্কার, সাবান থাকে না বেশির ভাগ সময়। আর বাইরের খাবারের সাথে হলের খাবারের দামেরও তেমন পার্থক্য নাই। তারপরও মান এতো বাজে৷ 

এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, বর্তমান বাজার দরে ক্যান্টিনে যে দামে খাবার সরবরাহ করা হয় তা খুবই কঠিন৷ তারপরও খাবারের মান নিয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সন্তুষ্ট বলে আমি মনে করি। আমি ডাইনিং পরিচালকদের ভালোভাবে বলে দিয়েছি তারা যেন পরিষ্কার পরিছন্নতা বজার রাখে। আমি নিজেও হলের রান্নার ঘর, খাবার রাখার জায়গা এগুলো পরিদর্শন করি। কোনরকম অসংগতি দেখলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রুহণ করি। তাছাড়া হলে সপ্তাহের ৩-৪দিন দুপরের খাবার খাওয়া পড়ে আমার। আমাদের নানারকম সীমাবদ্ধতা আছে তারপরও আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে সার্বিক বিষয়গুলো দেখার চেষ্টা করছি। তবে বেসিং অপরিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন করলে তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫