নোবিপ্রবির সালাম হলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১৮:১৩

ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল। ছবি: প্রতিনিধি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১৫ জুন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ২২ জুন, ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৫টি আবাসিক হল। ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হল, বিবি খাদিজা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।
৫টি আবাসিক হলের মধ্যে ২টি হল ছেলেদের জন্য এবং ৩টি হল মেয়েদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এই ৫টি হলের ৪টিতে সীমানা প্রাচীর থাকলেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের চারপাশে তৈরি হয়নি কোন নিরাপত্তা প্রাচীর। এত বছর পেরিয়ে এখন পর্যন্ত কোন নিরাপত্তা প্রাচীর না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে এই হলের প্রায় চারশতাধিক শিক্ষার্থী।
অন্যান্য হলগুলোর মতো এই হলে কোন সীমানা প্রাচীর না থাকায় চুরি ও বহিরাগতদের প্রবেশের ঘটনা ঘটে থাকে বেশি। বিশেষ করে অন্য হলগুলোর থেকে এই হলের চুরির ঘটনা অধিক। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন দামি জিনিসপত্র ও অর্থ সংরক্ষণে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়েই এসব জিনিসপত্র সংরক্ষণ করতে হয় তাদের।
এবিষয়ে হলটির একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী জানায়, হলটিতে কয়দিন পরপর চুরির ঘটনা ঘটে। চারপাশে কোন নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় অনেকসময় বাইরের আক্রমণাত্মক প্রাণীদের সম্মুখীন হতে হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, অন্যসব হলগুলোতে নিরাপত্তার জন্য দেয়াল তৈরি করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে ঐ হলগুলোর শিক্ষার্থীরা আমাদের থেকে নিরাপদ। এখানে অনেকগুলো হল পরে নির্মিত হলেও তাদের নিরাপত্তা প্রাচীর আছে। আর সালাম হল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনো পায়নি কোন নিরাপত্তা দেয়াল।
সালাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, একটা হলের সীমানা প্রাচীর খুবই দরকার। নিরাপত্তার দিক থেকে এর গুরুত্ব সবথেকে বেশি। চুরি ও কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। তাছাড়া ময়লা আবর্জনা ফেলে পুরো হলের চারপাশ ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী মো. নাহিদ মুরসালিন বলেন, এই হলের সীমানা দেওয়াল না থাকায় আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই। অনেক সময় বহিরাগতের অবাধ বিচরণ দেখা যায় যা আমাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা তৈরি করে। অনেক সময় কুকুর, বিড়ালসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রাণী কক্ষে প্রবেশ করে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে হলটির দ্রুত একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। যত দ্রুত প্রাচীর নির্মিত হবে তত দ্রুত শঙ্কামুক্ত হবে শিক্ষার্থীরা।
এব্যাপারে হলের প্রভোস্ট ড. আমিসুজ্জামান রিমন বলেন, হলের সীমানা দেয়ালের জন্য আমরা আবেদন জমা দিয়েছি আরো অনেক আগেই। এখনো তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাজেট হয়ে গেলেই এর কাজ শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার সহকারী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন জানান, আমরা এখনো আবেদনটি ইউজিসিতে পাঠাইনি। সেখানে পাঠানোর পর অনুমোদিত হয়ে বাজেট হলে এর কাজ শুরু করা হবে। এখনো কেন ইউজিসিতে পাঠানো হয়নি এর উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক চাপে প্রাচীর নির্মাণের কাজ খুব বেশি জরুরী নয়।