ডিজিটাল প্রযুক্তিতে চলছে হাতেখড়ি স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২০, ১৮:৫৯
ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
টাঙ্গাইলে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও ডিজিটাল পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করছে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুল।
স্কুলে না এসেই ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলে ও স্কুলের নিজস্ব পেইজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় মনোযোগ রাখা হচ্ছে প্রতিদিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ফাকা থাকলেও বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে মোবাইল হাতে ব্যস্ত রয়েছেন স্ব স্ব শ্রেণি শিক্ষক। এ্যানড্রয়েট ফোনে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করছে শিক্ষকরা।
এমনকি স্কুলের চেয়ারম্যানসহ গানের শিক্ষকও শিক্ষা দিচ্ছেন ভিডিও কলের মাধ্যমে। সাথে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শুধু ভিডিও কলেই নয়, পড়ালেখার মাধ্যমগুলো ভিডিও করে হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুল নামের ফেসবুক পেইজে আপলোড করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধাজনক সময়ে ভিডিও দেখে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এতে বিভিন্ন মহল, প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণ সাধুবাদ পোষণ করেছে। শুধু হাতেখড়িই নয়, গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান অনেকেই।
একজন অভিভাবক ফাতেমা ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে সুমাইয়া- প্লে শ্রেণিতে পড়ে, ক্লাস টিচারের সাথে ভিডিও কলে দশ মিনিট ক্লাস করেছে। সে খুব খুশি।
অভিভাবক লতা ইসলাম বলেন, আমার ছেলে ভিডিও কলে ক্লাস করেছে, এই ব্যতিক্রম ক্লাস পেয়ে সে অনেক উচ্ছ্বসিত। বাচ্চারা ঘরে বসে থাকলে কার্টুনের উপর নির্ভর হয়ে পরবে। তাই স্কুলের এই উদ্যোগে কার্টুন দেখা থেকে শিশুরা বিরত থাকবে।
হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সরকারের সিদ্ধান্ত আমরা সাধুবাদ জানাই। শিশুরা ঘরে বসে থাকলে অনেকটাই অমনোযোগী হয়ে পরবে। তাই ডিজিটাল পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরো বলেন, এ্যানড্রয়েট ফোন ও ইন্টারনেট সবাই ব্যবহার করেন। তাই এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছি। শুধু মুখে বললেই হবে না ডিজিটাল বাংলাদেশ। যার যার জায়গা থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করলে হবে দেশের উন্নতি।
