Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

এবার ৬৭৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১১:৩১

 এবার ৬৭৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেয়া ৬৭৮ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি আইনে মামলা হচ্ছে। শাস্তি হিসেবে ফেরত দিতে হবে চাকরিকালীন উত্তোলন করা বেতন ও ভাতার পুরো অর্থই। 

সনদের জাল জালিয়াতির বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। তাই অবৈধ নিয়োগ পাওয়া ৬৭৮ জন শিক্ষককে আইনে বিচারের মুখামুখি করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, অভিযুক্তরা যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, সেগুলো তো ফেরত দিতেই হবে, সেইসঙ্গে প্রতারণা করার জন্য তাদেরকে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তালিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট ও চাকরির পর যেখান থেকে সুযোগ সুবিধা পায়, সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি। কাজেই সেখান থেকে সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।

জাল সনদে চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের নৈতিক স্খলনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির ভিন্ন উদ্দেশ্য এবং এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার দুর্বলতাকে দায়ী করছেন শিক্ষাবিদরা।

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাল সনদ জমা দিয়ে যে শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছেন, তাদের হয়ত বেতন-ভাতা কেটে নেয়া হবে বা তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে। সেটা ঠিকই আছে। তাদের অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এই অপরাধের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে বের হয়ে আসে জাল সনদ ব্যবহার করে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের ৬৭৮ জন শিক্ষকের চাকরি নেয়ার বিষয়টি।

যাদের অধিকাংশই নিবন্ধন পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। ফলে সুপারিশ করা হয়, এসব শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণের। নির্দেশ দেয়া হয় গৃহীত বেতন-ভাতা ফেরত দেয়ারও। চাকরির মেয়াদের শেষ পর্যায়ে থাকলেও অবৈধ সনদ ব্যবহারকারী শিক্ষকরা পাবেন না কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধার অর্থও।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫