‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ প্রশ্নে ভাইরাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ২৩:০৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পরীক্ষার এই অদ্ভুত প্রশ্নটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ভাইরাল। ছবি: ববি প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’--এমন কথা উল্লেখ করায় নানা আলোচনা সমালোচনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রশ্নটি।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৮জুন) ব্যাবসায় ও শিক্ষা অনুষদের একটি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়।
এরপর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নটি ছড়িয়ে পড়লে এটা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই সমালোচনা করে এমন প্রশ্নের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আবার অনেকে বাস্তব ক্রিয়েটিভ উদাহরণে হেজিমনি বিষয়টি দেওয়ার জন্য পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ইমদাদুল ইসলাম নামে এক ববি শিক্ষার্থী ফেসবুকের নিজের ওয়ালে ব্যাঙ্গ করে লিখেছেন, ‘শয়তান দেহ পাবি মন পাবি না’--ইহা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডটার্মের প্রশ্নপত্র!
এদিকে পক্ষে অবস্থান নিয়ে আবুবকর সিদ্দিক নামে একজন লিখেছেন, উইকিপিডিয়া পড়া শিক্ষক আর তাতে অভ্যস্তরা সৃজনশীলতা বুঝবে না। এর কূপমন্ডুকতার চর্চা করেই যাবে। সবকিছু নিয়ে ট্রোল করবে। বেকার আগডুম বাগডুম লোক এরা।
সমালোচনা করে শামীম (ছদ্মনাম) এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি নৈতিকতা শিক্ষায় অবদান না রেখে অশ্লীলতা ছড়ায় এমন অপ্রীতিকর ভাবধারার প্রশ্ন করেন সেটা একটা জাতিকে নষ্ট ও পথভ্রষ্ট করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
নির্দিষ্ট ওই কোর্সের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে নেতিবাচক কিছু নেই। এটি কোট আনকোট। যাদের পড়িয়েছি আমি, সেখানে টেক্সট-ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। যারা হেজিমনি পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তোবা যারা জানেন না তারা সমালোচনা করছেন। বিট্রিশ রাজরা কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে হেজিমনিকে প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথার্থ উদাহরণ এবং এখনো প্রত্যেক জায়গায় হেজিমনি রয়েছে। এমনকি প্রশ্নপত্র নিয়ে যেটি হচ্ছে সেটিও হেজিমনির বর্হিপ্রকাশ।