Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

দেশে ভূমিকম্প উপযোগী ভূতাত্ত্বিক ফাটলরেখা ১৩

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১৯:৩৯

দেশে ভূমিকম্প উপযোগী ভূতাত্ত্বিক ফাটলরেখা ১৩

ঢাবিতে ভূমিকম্পবিষয়ক আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : সংগৃহীত

দেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার মতো প্রায় ১৩টি সক্রিয় ভূতাত্ত্বিক ফাটলরেখা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। 

আজ শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ভূমিকম্পবিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের উদ্যোগে ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসে করণীয় পদক্ষেপ নিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সভায় ঢাবির উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় যে কোনো সময়ে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প হতে পারে। আমাদের দেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার মতো প্রায় ১৩টি ভূতাত্ত্বিক ফাটলরেখা রয়েছে, যেগুলো ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয়। সেজন্য প্রস্তুতি বাড়ানো দরকার। জনসচেতনতা ভূমিকম্প দুর্যোগের বিপদাপন্নতা কমানোর জন্য একটি বড় উপাদান। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা স্কুলপর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, আমরা ছোট দেশ। আমাদের জনসংখ্যা বেশি, স্থাপনা বেশি এবং আমাদের আর্থিক সক্ষমতা জাপানের চেয়ে কম। তবে আমরাও উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং টার্গেট নিয়েছি ৫০ বছর। ২০৭১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঝুঁকি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত এবং সতর্ক করতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এবং ভবিষ্যতে এ রকম উদ্যোগ আরও গ্রহণ করা উচিত।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের প্রতিটি উদ্যোগের সঙ্গে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি বিবেচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করে আসছেন। দুর্যোগ ঝুঁকি সমন্বিত নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বর্তমানে অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। ভূমিকম্পের বিপদাপন্নতা কমানোর জন্য তিনি স্থানীয় পর্যায়ে ঘন ঘন মহড়া পরিচালনার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ সময় অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দুর্যোগ ঝুঁকি সন্নিবেশিত ‘ল্যান্ডইউজ প্ল্যান’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বহুলাংশে কমানো যাবে। এই পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে বিল্ডিং কোড সহজে অনুসরণ ও প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাবির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল ‘ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাড়ায়’।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫