
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (ju-admission.org) উক্ত ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এই ইউনিটে পাসের হার ছিল ৩০.৭৭%। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ।
তবে ‘বি’ ইউনিটে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়ার ক্ষেত্রে শিফটভিত্তিক ব্যাপক বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়েছে৷
‘বি’ ইউনিটে পুরুষ এবং নারী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ১৯৩টি করে মোট ৩৮৬টি আসনের বিপরীতে আসনসংখ্যার প্রায় দশগুণ শিক্ষার্থীর পৃথক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ছাত্র ও ছাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা দুই শিফটে (মোট চার শিফটে) অনুষ্ঠিত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ছেলেদের ১৯৩টি আসনের মধ্যে ১৩৬টি আসনই দ্বিতীয় শিফট থেকে এসেছে। প্রথম শিফট থেকে মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে মাত্র ৫৭ জন শিক্ষার্থী। শতকরা হিসেবে প্রথম শিফট থেকে চান্সপ্রাপ্তির হার মাত্র ২৯.৫৩ শতাংশ।
ছাত্রীদের মেধাতালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য আরও প্রকটাকারে পরিলক্ষিত হয়েছে। ১৯৩টি সিটের বিপরীতে ১৭১টি আসনই দ্বিতীয় শিফট থেকে এসেছে, যা তালিকার ৮৮.৬১%। প্রথম শিফট থেকে মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে মাত্র ২২ জন (১১.৩৯%) শিক্ষার্থী। এছাড়া মেধা তালিকায় প্রথম ২০ জনের ১৭ জনই দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা দিয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা সবসময়ই বলে থাকেন, শিফট ভিন্ন হলেও, প্রশ্নপত্রের মান প্রায় সবসময়ই একই রকম থাকে। প্রতিবছর মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তিতে এমন আকাশ-পাতাল পার্থক্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
শিফট বৈষম্যের ব্যাপারে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, শিফট পদ্ধতিতে একটি বৈষম্য তৈরি হয়। তবে সব শিফটে প্রশ্ন একই ক্যাটাগরিতে অনেকগুলো সেটে হয়। আমরা এবার শিফট পদ্ধতি থেকে বের হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলে অনেক শিক্ষক এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।