ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের বিতর্ক প্রতিযোগিতা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০০

ছাত্র ইউনিয়নের বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছবি: বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
৬১তম শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদের আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় সংগঠনটির দলীয় টেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে আয়োজন করা হয় সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার। এ পর্বে বিতর্কের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ৬২এর শিক্ষা আন্দোলনই ছিল মহান স্বাধীনতার পটভূমি। উক্ত প্রস্তাবনার পক্ষে সরকারি দলে অংশগ্রহণ করেন নাজমুস সাকিব (প্রধানমন্ত্রী), ইয়াছিন আলী (মন্ত্রী) ও নাহিদ হাসান (এমপি)। অপরদিকে প্রস্তাবনার বিপক্ষে বিরোধী দলে সায়েম আহমেদ (বিরোধী দলীয় নেতা), আহমাদ গালিব (বিরোধী দলীয় উপনেতা) ও জিন্নাত মালিয়াত শীমা (বিরোধী দলীয় এমপি) অংশগ্রহণ করেন। বিতর্কে বিরোধীদল বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অনুষ্ঠানে বিজয়ী দলের নেতা সায়েম আহমেদ শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে প্রতিযোগিতার ২য় পর্বে বারোয়ারী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সায়েম আহমেদ প্রথম, জিন্নাত মালিয়াত শীমা দ্বিতীয় এবং নাজমুস সাকিব তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি ইমানুল সোহানের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতায় বিচারক ও প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ও সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতি রুমি নোমান। স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি তামিম আদনান। এছাড়াও সময় নিয়ন্ত্রক হিসেবে ছিলেন সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ নুর আলম।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সুইটের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতি রুমি নোমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের দেশে প্রায় পঞ্চাশের অধিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাবলিক বা স্বায়ত্তশাসিত বলে থাকি। কিন্তু আমরা আদৌ কি পেরেছি সরকারি হতে মুক্ত হতে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কি আসলেই কোন ক্ষমতা আছে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার? আমরা স্বাধীন হয়েছি, জাতি হিসেবে আমরা ভাষা পেয়েছি, একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করেছি, আমাদের একটি ভূখণ্ড হয়েছে। কিন্তু আমরা মানসিকভাবে এখনো পর্যন্ত মনে হয় পরাধীন রয়ে গেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আগামীতে যদি মুক্ত করা না যায়, পরিপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো ক্ষমতা না দেওয়া হয়, তাহলে স্বাধীন এবং মুক্তমনা ছাত্রসমাজ গঠনে প্রতিবন্ধকতা থেকেই যাবে।
শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।