
সবুজে ঘেরা ৭৫ একর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর।
উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটেছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তেমনি সবুজে ঘেরা ৭৫ একর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর।
ক্লাস শুরু পর থেকে ক্যাম্পাসে আনাগোনা বাড়ছে নবীন শিক্ষার্থীদের। কৃষ্ণচূড়া সড়ক, দেবদারু সড়ক, সেন্টাল মাঠ,স্বাধীনতা স্মারক, শাহীন মিনার, ভিসি চত্ত্বর, হতাশা চত্ত্বর,শেখ রাসেল চত্ত্বর, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, ৩৬ হাজার বৃক্ষের ছায়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অনুভূতি জানতে চাইলে লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী পরিচয় চন্দ্র রায় বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পরে সকল শিক্ষার্থীর স্বপ্ন হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া। ঠিক তেমনি আমারও স্বপ্ন ছিল আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব আর আজ তা পূর্ণতা পেয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার অনেক কিছু করার স্বপ্ন এবং ইচ্ছা রয়েছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা আনাচেকানাচে এমন প্রফুল্লমুখি যা আমি আগে কোনদিন ধারণা করতে পারিনি। এখানে এসে আমার অনেক কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। বেরোবি ক্যাম্পাস প্রতিটা রাস্তা এবং বড় ভাইদের ভালোবাসা আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। জীবনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবং বড় ভাইদের কথা মাথায় রেখে আমি আমার ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে চাই।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান সাকিন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অনেক ভালো লাগছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ভালো এবং এর মনোরম পরিবেশ আমাকে মনোমুগ্ধ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ভাইরা সবাই আন্তরিক। সেজন্য আমার কোনো সমস্যা হয়নি। আমার যেকোনো সমস্যায় তাদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা সর্বদা সাহায্য করে। আমার স্বপ্ন উদ্যোক্তা হওয়া। যে সংগঠনগুলো একজন ছাত্রের সৃজনশীলতা বৃদ্বির জন্য নানারকম কার্যক্রম করে। আমি সেখানে অংশগ্রহণ করব।
ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হুজাইফা বলেন, আমাদের ৭৫ একরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি বিভাগ এর নিয়ন কানুন যথেষ্ট ভালো। আগে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাবে একটু ঘাটতি ছিল তবে সেটা এখন পূরণ করা হয়েছে। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্কিল আগের থেকে সহজে অর্জন করতে পারছে। ইনশাল্লাহ আমরা আরও এগিয়ে যাবো। আমার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল ছোট থেকে তাই এই বিভাগে ভর্তি হওয়া। আমি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের জন্যে ইলেকট্রিক দিকে সেবা দিয়ে যাবো।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া আমার কাছে একটা স্বপ্নের মতো। অনেক দিনের দেখা স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। বেরোবি ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর। বড় ভাইয়া ও আপুরা আনেক ভালো। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার সাথে একটা ভালো সময় কাটাতে চাই।
উল্লেখ্য, র্যাগিং নিয়ে বেরোবি প্রশাসন তৎপর। র্যাগিংয়ের কোন ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন তারা।