
তাসখন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস ২০২৩।
উজবেকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গবেষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং সাংবাদিক ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত, আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথি, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এছাড়াও, এ দিবস উপলক্ষে শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও থিম সং পরিবেশন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুর ইসলাম স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ শেখ রাসেলের জন্ম দিবসে বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার রক্ষা ও নিরাপত্তার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। শিশু-কিশোরদের পৃথিবীর ভবিষ্যত হিসেবে আখ্যায়িত করে শিশুদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এ লক্ষ্যে সকলকে আরো উদ্যোগী ও কার্যকরী অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান।
শেখ রাসেল দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে “শেখ রাসেল দিপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়” এ প্রতিপাদ্যের আলোকে উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজ এর শিক্ষক কমলা আলিমোভা এবং জামিলিয়অ আব্দুগেনিয়া, ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি এন্ড ডিপ্লোম্যাসি অব উজবেকিস্তান এর শিক্ষক ইতিবোয় সুলতোনোভা এবং সাংবাদিক শুকুরোভা গুলমিরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথিরা বক্তব্য প্রদান করেন।
শহীদ শেখ রাসেল, জাতির পিতা ও তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।