
সারাদেশে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির পর শুরু হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লিখিত আবেদনের (হার্ডকপি) বিপরীতে বদলি কার্যক্রম।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পাশাপাশি এপ্রিলের পর থেকে অনলাইনে সারা বছরই শিক্ষক বদলির কাজ চলবে বলে জানো গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার জন্য এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জরুরি বদলি ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম চলেনি।
তবে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা না গেলে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে লিখিত আবেদনের বদলি কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে তাও আটকে গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ্ বলেন, ছুটির পর আমরা শিক্ষক বদলি কার্যক্রম (লিখিত আবেদনের বিপরীতে) শুরু করবো। আর করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ছুটি দীর্ঘয়িত না হলে, অনলাইনে বদলির ব্যবস্থা চূড়ান্ত হবে এপ্রিলের মধ্যেই।
তিনি আরো বলেন, বদলির নতুন সফটওয়্যারে শিক্ষক ডেটাবেজ আপডেট করে ফেলবো, এতে কোনো সমস্যা হবে না। এপ্রিলের পর অনলাইনেও বদলি কার্যক্রম শুরু হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অনলাইনে শিক্ষক বদলির উদ্যোগ নেয়।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল-হোসেন জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি (২০২০) থেকে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে। যদিও এখনো তা শুরু করা যায়নি।
শিক্ষক বদলিতে বিভিন্ন সময়ের দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক ফসিউল্লাহ্ বলেন, আমি যোগদানের আগে শিক্ষক বদলি নিয়ে অভিযোগের কথা শুনেছি। আমি শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, তারা যেন প্রতারণার শিকার না হন। বদলি কার্যক্রমে দুর্নীতি হবে না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ এবং পরে বাড়িয়ে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরের দুইদিন ১০ ও ১১ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি সরকারি ছুটি হিসেবে গণ্য হয়েছে। ফলে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে। এই ছুটি দীর্ঘায়িত না হলে সব ধরনের অফিস কার্যক্রম শুরু হবে ১২ এপ্রিল থেকে।
এ সময় শুরু হবে প্রাথমিকের শিক্ষক বদলি কার্যক্রমও।