রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. রাজু আহমেদের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, যৌন অপকর্মের দায়ে অভিযুক্ত  রাজুর বিরুদ্ধে উপচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে। বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে আমার সাথে যারা কাজ করছে তাদের হুমকি দেয়, মামলার ভয় দেখাচ্ছে এবং মীমাংসা করার কথা বলছেন রাজু। গত ১৩ নভেম্বর রাজু আমিসহ আরো দুইজনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং আসল ঘটনাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, রাজু  আমেনা ক্লিনিকে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে অস্বীকার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। রাজুর সাথে বেশকিছু  সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষক ও কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। রাজুর দ্বারা যৌন হয়রানির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। রাজু অসহায়ত্ব চিকিৎসার নিয়মাবলি পরোয়া না করে দীর্ঘদিন যাবত সে অনেককে নিপীড়ন করে যাচ্ছে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুন্নবী সামাদী, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া,বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মুবাররা সিদ্দিকাসহ আরো অনেক শিক্ষক- শিক্ষার্থী  উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর তালাইমারি এলাকার আমেনা ক্লিনিকে যৌন হয়রানির  ঘটনা ঘটে। ৩১ অক্টোবর সকালে ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ডা. রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে। উপচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডা. রাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করে। গত ১৩ নভেম্বর ডা. রাজু আহমেদ (১৪৯/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/) ধারায় ভুক্তভোগীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত রাজু বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান চিকিৎসক।