জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের অবাঞ্ছিত ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরে হল কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। হাবিবুর রহমান লিটনের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও শোডাউন করেছে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী অংশ।

আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর থেকে রাত সাড়ে ১০টায় মিছিল শুরু হয়। এসময় তারা ‘এক দফা এক দাবি লিটন তুই কবে যাবি’, ‘লিটনের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এরপর মিছিল নিয়ে তারা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গিয়ে জড় হন। এসময় নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু হলের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে লিটনকে লক্ষ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় লিটনের সমর্থনে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু হলে এসে যোগ দেয়৷ 

বঙ্গবন্ধু হলের সামনে অবস্থান চলাকালে রাত সাড়ে এগারোটায় ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে উপস্থিত হন প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান৷ এসময় তিনি বিদ্রোহীদের সাথে কথা বলেন। অবাঞ্ছিত হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে হল কমিটি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিদ্রোহীরা। জমি দখল ও নিজের অর্থ আত্মসাৎকে বৈধতা দিতেই এই কমিটি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা৷ লিটনের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত কার্যক্রমের মাঝেই হল কমিটি দেওয়াকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন তারা৷ এসময় অবাঞ্ছিত সাধারণ সম্পাদককে অবিলম্বে ক্যাম্পাস ত্যাগের আল্টিমেটাম দেন তারা৷ হলের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে হল তল্লাশির দাবি জানান তারা। 

প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বিদ্রোহীদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তো এখানে কিছু করতে পারবে না, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা না হোক। আমি আজকে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিকে এটা জানাবো৷ কিন্তু এখানে তো আমার কিছু করার নেই, এটা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দেখবে৷ হল রেইড দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অথরিটির সাইন লাগে। চাইলেই তো রেইড দেওয়া যায় না।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি হল কমিটি দিতে ব্যর্থতা, কর্মীদের সময় না দিয়ে জমি দখলসহ ৬টি অভিযোগে  লিটনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছয় হলের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। চলমান এ বিদ্রোহে বিশ্ববিদ্যালয়ের কামালউদ্দিন হল, রবীন্দ্রনাথ, রফিক-জব্বার, আলবেরুনি হল, মীর মশাররফ,  সালাম-বরকত হলের সাধারণ সম্পাদকের প্যানেলের নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।