বছর ধরে নষ্ট জবির একমাত্র নলকূপ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এক বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে একমাত্র পানি সরবরাহের নলকূপ। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। আর এ সংকটে তৃষ্ণা নিবারণ করছেন ওয়াসার পানি দিয়ে। তবে এ বিষয়ে নজর নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নলকূপটি উপাচার্য ভবনের পিছনে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর প্রথমদিকে নলকূপটি স্থাপন করা হয়৷ দীর্ঘ এই সময়ে বেশ কয়েকবার নলকূপটি মেরামত করা হলেও বিগত একবছর যাবত তা একদমই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে৷ নলকূপটি বিকল যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি থেকে রিজার্ভ ট্যাঙ্কে পানি উত্তোলন করা হতো৷ ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ থাকায় সেই পানি ফিল্টারিং হবার পরেও গন্ধ থেকে যাচ্ছে। এছাড়াও ওয়াসার পানি কতটুকু বিশুদ্ধ তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওয়াসার পানি ফিল্টারিং করার পরেও গন্ধের পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াও অনেকাংশে রয়ে যাচ্ছে৷ এসব পানি খেলে শিক্ষার্থীদের পানিবাহিত রোগ হতে পারে৷ দ্রুত সমাধান না করলে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
পুরান ঢাকায় মেসে থেকে পড়াশোনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ হাসান। এ বিষয়ে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের হল না থাকায় আমাদের পুরান ঢাকার মেসে থাকতে হয়। আর এখানে কয়েকটি সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। তাই ক্যাম্পাস থেকেই বাসার জন্য পানি নিয়ে যাই। ক্যাম্পাস থেকে পানি নিতে গেলে প্রায়ই লক্ষ্য করি পানিতে দুর্গন্ধ থাকে৷ পরবর্তীতে জানতে পারি নলকূপ নষ্ট, সরাসরি ওয়াসার পানি ফিল্টার করা হচ্ছে৷ দ্রুতই নলকূপ সংস্কারের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রিফাত হাসান জানান, কিছুদিন আগেই আমি পানিবাহিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াসার পানি পান করার জন্যই এমনটা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিমাত্র নলকূপ, সেটাও একবছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসন দ্রুত এটি মেরামত করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নলকূপ সংস্কারের জন্য টেন্ডার ও ড্রপিং হয়ে গেছে৷ অনুমোদনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি দুই একদিনের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যাবে। রমজানে পানির অনেক সংকট থাকে৷ তাই আমরা রমজান শুরু হবার আগেই কাজটা শেষ করার চেষ্টা করছি।