পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১৩:২৪

মানববন্ধন করছেন হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন স্কিম ব্যবস্থার প্রজ্ঞাপন বাতিল ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
গতকাল সোমবার (১৩ মে) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এই মানববন্ধন আয়োজিত হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায়সহ শিক্ষক সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।
হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম ছিল নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য। যার মাধ্যমে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষেরা পেনশন সুবিধার সাথে যুক্ত হতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই স্কিমের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি বৈষম্যের সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেড পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে হাবিপ্রবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম শিক্ষকদের জন্য চরম বৈষম্যমূলক। এ ধরনের স্কিম অতীতে কখনো ছিল না। শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে, শিক্ষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা করার এই নীল নকশা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
এসময় হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল সার্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এই পেনশন স্কিম শিক্ষকদের জন্য একটি চরম বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকতা পেশাকে গ্রেড-১ এর মর্যাদা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য যে, গত ১৩ মার্চ, ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সকল শিক্ষক ১ জুলাইয়ের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয় স্কিম' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।