৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবি শিক্ষার্থীদের গেট টুগেদার

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ১৩:৪১

বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: জবি প্রতিনিধি
৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।
মিলনমেলায় পরিচয় পর্ব থেকে শুরু করে কেক কাটা এবং নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই আয়োজন শুরু হয়। এসময় সকলেই দেশ ও জাতির কল্যাণের লক্ষে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ৪৩তম বিসিএস ফলাফলের পরপরই চেষ্টা করতেছিলাম। সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর প্রোগ্রাম করার। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসছেন এবং প্রোগ্রাম সফল করার জন্য কাজ করেছেন। অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেন নাই, ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে আরো বড় পরিসরে প্রোগ্রাম করার। এ ধরনের প্রোগ্রাম আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হবে এবং সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে।
প্রশাসনে সুপারিশপ্রাপ্ত আশফিয়া ইসলাম বলেন, যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি তাই আমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কও তেমন গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক হওয়ার একটা সুযোগ হয়। আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে। ভবিষ্যতে ক্যাডার সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে, বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাবে সুপারিশপ্রাপ্ত, শরীফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের মধ্যে যোগাযোগের যে স্বাভাবিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে এবং ভবিষ্যতের কর্মস্থলে জবিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এ ধরণের আয়োজন যুগান্তকারী হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে যারা আসবেন তাদের জন্য শুভকামনা, তারা আরো ভালো কিছু করবেন।
বিসিএস শুল্ক এবং আবগারিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদুল আলম পলাশ বলেন, আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত সকলের অংশগ্রহণে একটা ছোট গেটটুগেদার এর আয়োজন ছিল যা ছিল অনবদ্য। আমাদের মতো অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের একসাথে করানোটাই ছিল একটা চ্যালেঞ্জ যা আমরা আমাদের প্রিয় শফিক ভাইয়ের উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সকলে সকলকে ভালোভাবে জানতে পেরেছি। সিনিয়র-জুনিয়র সকলে একত্রিত হতে পেরেছি, সবার সাথে আলাদাভাবে পরিচিত হতে পেরেছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাকরিজীবনে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। আজ যা শুরু হলো তার মাধ্যমে আমরা ৪৩তম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একত্রে থেকে সবাই সবার বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে দাড়াতে পারবো। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়ররাও আমাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সহযোগিতা লাভ করতে পারবে। আজকের এই ছোটো প্রোগ্রামটিই ভবিষ্যতে অনেক বড় বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পাথেয় হয়ে থাকবে। পরিশেষে বলতে চাই, সকলের অংশগ্রহণে আজকে আমাদের একটি সুন্দর আয়োজন ছিল আমাদের সবার প্রিয় বুড়িগঙ্গার তীরে। জয়তু ৪৩তম বিসিএস পরিবার।
জানা যায়, ৪৩তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে পুলিশে একজন, প্রশাসনে চারজন, ট্যাক্সে তিনজন, অডিট এন্ড একাউন্টসে একজন, কাস্টমস এন্ড এক্সাইজে একজন, তথ্যে একজন, সমবায় একজন এবং বড় একটি অংশ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে।