
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।
বিকেলের সোনালী রৌদ্র মসজিদটির গা থেকে যেন উজ্জ্বল আভা ছড়ায়। চিকচিক করে দেয়ালের রং। দূর থেকে প্রাসাদ মনে হবে। যেন অনন্য সৌন্দর্যের আঁধার। স্থাপত্যের নয়নাভিরাম অপরূপ নিদর্শন। শিল্পীর রংতুলি। বলছি নান্দনিকতায় অনন্য ও দৃষ্টিনন্দন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কথা।
সৌন্দর্যে ভরা মসজিদটির আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর শৈল্পিক বৈচিত্র্যের জন্য সাধারণের কাছে আকর্ষণের প্রধান স্থান হয়ে উঠেছে। এর নির্মাণশৈলী আর কারুকাজ মসজিদটিকে দৃষ্টিনন্দন রূপ দিয়েছে। যোগ করেছে সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা। ক্যাম্পাসটির সৌন্দর্যকেও বাড়িয়েছে বহুগুণে। তাই ক্যাম্পাসে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও মসজিদটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
মসজিদের ফ্লোরে ব্যবহার করা হয়েছে মার্বেল পাথর। রয়েছে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম। পাশাপাশি তিন গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখে মোগলদের স্থাপত্যের কথা অজানায় আপন মনে উঁকি দিবে যেকোনো মানুষের। সবুজে ঘেরা এই মসজিদটির দৃষ্টি আকর্ষণ করবে যেকোনো পথযাত্রীর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে ২০ শতাংশ জমির উপর মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই কেন্দ্রীয় মসজিদে একসঙ্গে প্রায় দুই হাজারের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটি ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উদ্বোধন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খুব কাছেই মসজিদটির অবস্থান। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক। এর আশেপাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকার গাছ। সড়কের দুইপাশ জুড়ে লাগানো হয়েছে ঝাউগাছ। মসজিদটির অদূরেই রয়েছে ছেলেদের বঙ্গবন্ধু হল ও শেরে বাংলা হল। দুটি হলেই আলাদা দুটি মসজিদ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের জায়গা কেন্দ্রীয় এই মসজিদটি। বরিশাল জেলার অন্যতম আরেকটি মসজিদ হলো গুটিয়া মসজিদ। এর পরই অন্যতম দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সমাদৃত।